ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বসলেই ৪ হাজার টাকা বিল গুনতে হবে

কক্সবাজারে উড়ন্ত রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে যাত্রা শুরু করেছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নামের একটি উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট। দেশের পর্যটন বিনোদনে এটি নতুন সংযোজন।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকত পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।

উড়ন্ত অবস্থায় টেবিলে বসে এখানে নানান স্বাদের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত অ‌্যাডিশনাল ডিআইজি (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) মো. মুসলেম উদ্দিন, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান ও ফ্লাই ডাইনিং রেস্টুরেন্টের কর্ণধার নবাব ফয়েজ আবু বক্কর খান প্রমুখ।

সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক মেশিনের ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে এ রেস্টুরেন্টে থাকবে খাওয়া-দাওয়ার সুব্যবস্থা।

এতে মেঘের রাজ্যে বসে আপ্যায়িত হওয়ার এক রুমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন পর্যটকরা। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে দিবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ।

সৈকতের বালিয়াড়িতে সূচনা হয়েছে নতুন মাত্রার। দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই ‘ফ্লাই ভাইনিং’ নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠন ‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড’।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সী প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দন ভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্তুরা ও কিসেন।

রেস্তুরার পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আসে একটি ক্রেন। একটি বিশেষ পাঠাতনে ২০ জন ধারণ ক্ষমতার চেয়ার, টেবিল ও উপরে ছাতার মতো এক ধরণে ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে।

এ্যালোমেনিয়াম ও স্টীলের সমন্বয়ে তৈরী বিশেষ তার ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাটাতনে মাঝখান ও চারপাশে।

মাটিতে থাকা কিসেনে পছন্দ মতো খাবার অর্ডার করে তা যে কেউ চাইলে ‘উড়ন্ত পাঠাতনে’ পরিবেশন সুবিধা নিতে পারছেন।

আয়োজকরা জানান, ২০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের আকাশে ১৬০ ফিট উপরে তুলে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে।

এসময় আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও। এতে জনপ্রতি খচর পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)।

পাটাতনে উঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি এক থেকে দেড় ঘন্টা। পরিবারসহ বিনোদন ও খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকছেন দেশের বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টনি খান।

উদ্বোধনী দিনে আকাশে খাবার উপভোগ করা জসিম উদ্দিন, তুষার তুহিন ও আব্দুল আজিজসহ পর্যটকরা বলেন, এটা অন্যরকম অনুভূতি। সিট বেল্টটি বিমানের মতো ডেক চেয়ারের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়।

পরে যাত্রার শুরুতে আকাশে একটু ভয় কাজে আসলেও ওঠার পর সুখে সব ভুলে যান তিনি। উপর থেকে সমুদ্র সৈকতের সব ঢেউ আর কক্সবাজারের পাহাড়, চারপাশ ও ভবনগুলো মুগ্ধ করছে।

পাঠকের মতামত: